নিউজ ডেস্ক :: কক্সবাজার বিমানবন্দরের জন্য জেনারেটর কেনার নামে সাড়ে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএবি) নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সম্প্রতি সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়। দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন বলে জানা গেছে। এর আগে ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি কক্সবাজার সদর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল বলে দুদকের জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়েছে তারা হলেন- বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কুর্মিটোলা ঢাকার নির্বাহী প্রকৌশলী মিহির চাঁদ দে, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শহীদুল আফরোজ, সাবেক সহকারী পরিচালক ভবেশ চন্দ্র সরকার, কক্সবাজার বিমানবন্দর ম্যানেজার দপ্তরের সাবেক সিনিয়র উপসহকারী পরিচালক শহীদুল ইসলাম মণ্ডল, কক্সবাজার বিমানবন্দরের সাবেক ম্যানেজার মো. হাসান জহির এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে কক্সবাজার বিমানবন্দরের জন্য একটি ৩০০ কেভিএ জেনারেটর কেনার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বেসামারিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কয়েকজন কর্মকর্তা ও ঠিকাদার যোগসাজসে জেনারেটরটি না কিনেই ক্রয় দেখিয়ে ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। এই অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দীর্ঘ তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত গতবছরের ৬ জানুয়ারি দুদকের চট্টগ্রাম অঞ্চল-২ এর উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। যার নং-জিআর-২৬/১৯।
এ ঘটনায় ১১ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে আসামিরা জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক খোন্দকার হাসান মোহাম্মদ ফিরোজ তা না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
পাঠকের মতামত: